ক্ষেতেই নষ্ট বহু আঙ্গুর

ইনকিলাব ডেস্ক :

১১ মার্চ ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪, ১২:০১ এএম

প্রচুর পরিমাণ ওয়াইন মজুদ থাকার ফলে অস্ট্রেলিয়ার বহু আঙ্গুরচাষী ক্ষেতে থাকা তাদের বহু আঙ্গুর নষ্ট করে দিয়েছেন। এমনি একজন আঙ্গুরচাষী টনি টাউনসেন্ড। গত বছর তিনি ১৪ হেক্টর জমিতে আঙ্গুর চাষ করেন। তার মধ্যে অর্ধেক আঙ্গুরই নষ্ট করে দেন। তার ক্ষেতে আঙ্গুর ফলেছিল বেশ ভাল। কিন্তু তিনি হিসাব কষে দেখেছেন যদি এসব আঙ্গুর তুলতে যান, তাহলে তার লোকসান হতে পারে ৩৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার (২৩ হাজার মার্কিন ডলার)। ক্ষেতের অর্ধেক আঙ্গুর তোলার পর দাবদাহের কারণে বাকি আঙ্গুর তুলতে পারেননি টনি। পরিকল্পনা করেন, ঠাণ্ডা পড়লে তখন এ কাজ শেষ করবেন। গত এক দশক ধরে যে আঙ্গুরগাছ তিনি লালন পালন করেছেন তা নষ্ট করে ফেলবেন। টনি টাউনসেন্ড তার আঙ্গুরের খামারে কাজ করছিলেন। যা কিছু গাছ বাকি আছে তা পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।

টনির বসবাস দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রিভারল্যান্ডে। পুরো অস্ট্রেলিয়ায় যে পরিমাণ ওয়াইন তৈরি হয় শুধু এ এলাকায় তার এক তৃতীয়াংশ তৈরি হয়। ২০২০ সাল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, দাম এবং চীনা শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সরবরাহের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং দেশে এর মূল্য এক হতাশাজনক অবস্থায় ফেলেছে। আয়ের উৎস হিসেবে আঙ্গুর চাষের ওপর কখনোই পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলেন না টনি টাউনসেন্ড। এটা ছিল তার পার্টটাইম কাজ। তার মতো সৌভাগ্যবান সব কৃষক নন। আঙ্গুর চাষি ও ওয়াইন তৈরিকারকদের প্রতিনিধিত্ব করে এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ রিভারল্যান্ড ওয়াইন। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিন্ডল বলেন, ওয়াইন শিল্পে ভবিষ্যৎ নেই। এটা দেখতে পাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। এটা এমন একটি সমস্যা যে তা সারাবিশ্বেই দেখা দিচ্ছে। ৬০ বছরের মধ্যে বৈশ্বিকভাবে এই শিল্পের উৎপাদন ২০২৩ সালে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এর কারণ, ওয়াইনের চাহিদা কমছে। সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক