ভারতে আরেক নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, ‘ফুল বেঞ্চে’ এখন একাই সিইসি
১০ মার্চ ২০২৪, ০১:১৩ পিএম | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি ভারতের জাতীয় নির্বাচনে। তার আগে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল। নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এর ফলে, বর্তমানে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে মাত্র একজন সক্রিয় সদস্য রয়ে গেলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার। আগামী সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের তফশিল প্রকাশ হওয়া নিয়ে যখন জোর জল্পনা, সেই আবহে কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের ঠিক আগে আচমকা কেন ইস্তফা দিলেন গোয়েল, তার কারণ স্পষ্ট নয় এখনও পর্যন্ত। কারণ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৬১ বছর বয়সি গোয়েলের কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। রাজীব কুমারের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথাও ছিল তার। আগামী বছরই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজীব কুমারের। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে গোয়েল ইস্তফা দেয়ায় বেনজির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের তৃতীয় পদটিও ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নেন অনুপ পাণ্ডে। তার পর থেকে রাজীব কুমার এবং অরুণই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। আগামী সপ্তাহে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরও যাওয়ার কথা ছিল, যাতে সেখানে নির্বাচন করানো নিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যায়। তার পরই লোকসভার নির্বাচনী তফশিল প্রকাশের কথা ছিল। একজনের পক্ষে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব নয় আপাতত।
এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলছে, সেই অনুযায়ী, সরকার অন্য কাউকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছে। বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিচ্ছিল। যদিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই পদ ছাড়েন গোয়েল। পরে হয়ত এ নিয়ে বিবৃতি দেবেন রাজীব কুমার। তবে আপাতত শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ সেরে ফেলাই লক্ষ্য কেন্দ্রের।
এর আগে, গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন প্রবর্তন করে, যার আওতায় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে আর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রয়োজন পড়বে না। প্রথমে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রণালয় এবং দুই সচিব পাঁচ প্রার্থীকে বেছে নেবেন। তার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং মোদি মনোনীত কেন্দ্রীয় একজন মন্ত্রী ওই পাঁচ জনের মধ্যে থেকে একজনকে সুপারিশ করবেন। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু।
সংখ্যার জোরে এই আইন পাশ করিয়ে নিলেও, মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ প্রধান বিচারপতিকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়ার পর বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুপারিশ করা প্রার্থীরই পাল্লা ভারী। কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাই ওই কমিটির নির্বাচিত ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কতটা নিরপেক্ষ হবেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রিয়ালে যোগ দিতে চান হল্যান্ড!
গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে সংঘর্ষ
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
পটিয়ায় পৌরসভার অপরিকল্পিত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবি
বাঘারচর বিজিবি ক্যাম্পে ১৭৫ বস্তা ধনিয়া জব্দ মালিকের প্রশ্ন আরো ২০ বস্তা গেলো কোথায়?
ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করলেন সাদিয়া আয়মান
স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য ‘কৃষকের বাজার’ উদ্বোধন
মানিকগঞ্জে এলাকাবাসীর অর্থায়নে রাস্তা মেরামত
হতাহতদের সাহায্যার্থে একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে
ভবদহের পানিবন্দি মানুষকে বাঁচাতে লংমার্চ কাল
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?
শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ
সরকার সঠিক পথেই এগুচ্ছে
বন্যা-নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ ত্রাণ মাত্র ১০ কেজি চাল
ছোট ফেনী নদীর দু’পাড়ে ভাঙন বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ
কদমতলী-হাসনাবাদ সেতু ৪ বছরেও শেষ হয়নি
এআইর সাহায্যে প্রতিহত হল বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি
হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত ১৯
৮৫ মুসলিম হত্যার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন থাই প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে ১০ পুলিশকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা