বান্দরবানে কেএনএর গুলিতে সেনা কর্মকর্তা নিহত আহত ২
১৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম
বান্দরবানে সেনা সদস্যদের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল সোমবার আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত রোববার কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল সেনা সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং দুই জন সেনা সদস্য আহত হয়। আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশ মাতৃকার সেবায় তার এই মৃত্যুতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারায় বিশ¡াসী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি নামক এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি ইতোপূর্বে "জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’ এর মত একটি জঙ্গী গোষ্ঠীকেও বান্দরবানের পাহাড়ী এলাকায় অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পাহাড়ী এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক নির্মিতব্য বান্দরবানের থানচি সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য কেএনএ সন্ত্রাসী দলটি সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত অসামরিক ঠিকাদার, মালামাল সরবরাহকারী এবং শ্রমিকদের নিকট থেকে প্রথমে চাঁদা দাবী করে ও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়।
কিন্তু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই কাজ চলমান থাকায় কেএনএ সন্ত্রাসী দল গত ১১ মার্চ ১২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। এদের মধ্যে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয় এবং চার জন শ্রমিককে এখনও কেএনএ জিম্মি করে রেখেছে। অবশিষ্ট সাত জন শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও তাদেরকে সেনাবাহিনীর সাথে সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে এবং কেএনএ ১২ মার্চ সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর গুলিবর্ষণ করে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের তিন উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের জন্য কেএনএ পরিবহন মালিক সমিতিকে হুমকি প্রদান করে নোটিশ জারি করে। কেএনএ সদস্যদের বিবিধ সন্ত্রাসী কর্মকা- দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে গত রোববার উক্ত এলাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও কেএনএ এর নির্যাতনে স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী ঘরছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। কেএনএ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি, মাদকের চোরাচালান, অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকা-ের কারণে বর্তমান সরকারের বিবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকা-, বেসরকারি বিনিয়োগ ও পর্যটন শিল্প বাঁধাগ্রস্থ হােচ্ছ, যার সূদুরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কেএনএ এর এই অপতৎপরতা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ¡ দরবারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে এবং সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে বিঘিœত করছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফুলকপি উৎপাদন খরচ ১৫ টাকা বিক্রি ৫ টাকা: মাঠেই কেটে ফেলে রাখছে চাষিরা
ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি খালেদা জিয়ার যে মহানুভবতায় বিস্মিত আসিফ নজরুল
পঞ্চগড়ে শিবিরের নেতৃত্বে জুলফিকার-রাশেদ
নির্মাণের ৩৬ বছরে মেরামত হয়নি ভোলা বাস টার্মিনাল
সুবিধা বঞ্চিত গরীব অসহায়দের মাঝে এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের শীতবস্ত্র বিতরণ
মুজিব ছিল ভারতীয় নকশা বাস্তবায়নের মূল খেলোয়াড়: মেজর ডালিম বীর উত্তম
মাসুদ-বাবরের রেকর্ড জুটি
ছাত্রলীগের শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি সোহাগ বেপারী গ্রেপ্তার
বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ : ডেইলি মেইল
প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ৩০ মামলার আসামী গ্রেপ্তার
‘ডিবি অফিসে আর কোনো ভাতের হোটেল হবে না’
রাজবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
সিলেটে ক্রিকেট উন্মদনা শুরু
ইসরায়েলের কারাগার থেকে জর্ডানিয়ান চিকিৎসকের মুক্তি
ব্রিজবেন ইন্টারন্যাশনালে চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা
রোহিঙ্গা ঠেকাতে পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকছেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা নিয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল আনসারীর সাক্ষাৎ
দ. কোরিয়ায় ইউন সুক ইয়োলের গ্রেপ্তার নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
কাতারে সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি