বরগুনার আমতলী উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমরান খানের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমাতুজজোহরা মৈতিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমতলী উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মো. সোয়েব ইসলাম হেলালের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ তারিকুল ইসলাম টারজান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ খান, যুবদল সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার, উপজেলা কৃষকদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক এনামুল হক সোহাগ, কলেজ ছাত্রদল সাবেক আহবায়ক রাজিব মৃধা, উপজেলা ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক শাহাবুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইমন মিয়া ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মহিমা বিশ্বাস প্রমুখ। মানববন্ধনে সহাস্রাধিক নেতা- কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমতলী উপজেলা শাখার উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমাতুজজোহরা মৈতি গত ৫ ই আগষ্টের পরে বোল পাল্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বনে যান। ওই ছাত্রলীগ নেত্রী ফাতিমাতুজ জোহরা মৈতির দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি মানুষকে হয়রানী করতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহন করেন। গত সোমবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মৈতি উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন তাও ওই কৌশলের একটি অংশ।
এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করায় ফুসে উঠেছে উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব মোঃ ইমরান খান বলেন, আমাকে হয়রানি করতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী মৈতি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ছাত্রলীগ নেত্রী মৈতি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সেজে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে এ বানোয়াট মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো বলেন, মৈতির বাবা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগ উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমাতুজ জোহরা মৈতি বলেন, আমি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করিনি। আমি মামলা করেছি ব্যক্তি ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তিনি আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগে ছাত্রলীগ করতাম। পদত্যাগ করেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মামলা নথি হাতে পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ মতে মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফাতিমাতুজ জোহরা মৈতি নিজে বাদী হয়ে গত সোমবার বরগুনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ওই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।