ভুট্টোর ফাঁসি এবং রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় জে. জিয়াউল হকের হত্যা : চক্রান্তের রাজনীতির অজানা কাহিনী

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩ এএম

পাকিস্তান অনিশ্চিত ও অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার আমি কথা দিয়েছিলাম যে, ঐ দেশটির সাবেক মিলিটারি প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনা ও মৃত্যু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর রিমোট কন্ট্রোল অর্ডারে ফাঁসি এবং দেশটির পারমাণবিক বোমার জনক বিশ^ বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক আব্দুল কাদির খানের হেনস্থা নিয়ে আজ আলোচনা করবো। আরো কথা দিয়েছিলাম, পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হওয়া নিয়ে আলোচনা করবো। পারমাণবিক বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের ওপর আলোচনার জন্য কমপক্ষে দুইটি কিস্তি দরকার। কারণ, কাদির খান সম্পর্কে আমার কাছে যে তথ্য আছে (বিভিন্ন বিদেশি মাধ্যম ও সংবাদপত্র থেকে সংগৃহীত) সেটি বাংলাদেশের খুব কম মানুষেরই আছে। তাই আজ কাদির খান সম্পর্কে যদি আলোচনা করা সম্ভব না হয় তাহলে আগামী কোনো এক সময় আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

আমরা আগেই বলেছি যে, বিশে^ ইসলামী জীবন দর্শন এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওয়াদা নিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৭৬ বছর পার হয়ে গেল, দেশটি সাচ্চা গণতন্ত্রের মুখ দেখতে পারলো না। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী সামরিক ও বেসামরিক আমলা ও কর্মকর্তাদের নেক্সাস। গত সপ্তাহে আমরা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আলোচনা করেছি। দেখিয়েছি যে, ১৯৭১ সাল অর্থাৎ দেশটির মাত্র ২৪ বছরে আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন অর্থাৎ এই সংক্ষিপ্ত সময়ে দুইটি সামরিক শাসন এসেছে। এরপর ১৯৭২ সাল থেকে ২০২৩ সাল, এই ৫২ বছরে খণ্ডিত পাকিস্তানে দুইটি সামরিক শাসন এসেছে। একটি জেনারেল জিয়াউল হকের এবং অপরটি জেনারেল পারভেজ মোশাররফের। এখন আবার জেনারেল অসিম মুনির সামরিক শাসন জারির উঁকি ঝুঁকি মারছেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ৮ দিন পর সে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সাধারণ নির্বাচন বস্তুত বেলুচিস্তানের আনোয়ার উল হক কাকারের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলেও বাস্তবে এটি সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের নির্দেশে হচ্ছে। এই নির্দেশ পর্দার আড়াল থেকে নয়, বলতে গেলে তিনি পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এসম্পর্কেই আজ কথা বলবো। তার আগে এই খণ্ডিত পাকিস্তানে আরো দুটি ঘটনা ঘটেছে। সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।

দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে আমি প্রায় ৩৫ বছর হলো গবেষণা করছি। আমার সুচিন্তিত মত হলো এই যে, পাকিস্তান আজ সর্বনাশের যে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছে তার জন্য দায়ী দুইটি শক্তি। একটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অপরটি হলো পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। প্রথমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি প্রসঙ্গ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাবেক পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন জেড এ ভুট্টো। তার আগে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের নতুন শাসনতন্ত্র প্রণীত হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৭০ সালে পাকিস্তানব্যাপী যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তার প্রধান ম্যান্ডেট ছিল পাকিস্তানের জন্য একটি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে জেড এ ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন (যেহেতু তখনও পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন চালু ছিল)। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে যে শাসনতন্ত্র প্রণীত হয় সেটি ছিল পার্লামেন্টারি সিস্টেমের বা সংসদীয় পদ্ধতির। নতুন শাসনতন্ত্র মোতাবেক ১৯৭৩ সালে জেড এ ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৭৭ সালে নতুন শাসনতন্ত্রের অধীনে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভুট্টোর পিপলস পার্টি জয়লাভ করে। কিন্তু এই নির্বাচনের আগে থেকেই, বস্তুত ১৯৭৩ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই আমেরিকার সাথে ভুট্টোর প্রবল বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পাকিস্তানের অ্যাটম বোম্ব বা পারমাণবিক বোমা বানানোর প্রচেষ্টা।

॥দুই॥
আজ সংক্ষেপে এটুকু বলে রাখি যে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। তখন ভুট্টো বুঝতে পেরেছিলেন যে, প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধে (War with conventional weapons) কোনোদিন পাকিস্তান ভারতের সাথে পেরে উঠবে না। ভারত প্রথমে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করেছে। এরপর তারা ধাপে ধাপে অবশিষ্ট পাকিস্তানকেও গ্রাস করবে বা ধ্বংস করবে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তানের পক্ষে একমাত্র যে পথ খোলা রয়েছে, সেটি হলো পাকিস্তানকে অ্যাটম বোমার অধিকারী হতে হবে। এজন্য প্রেসিডেন্ট ভুট্টো পাকিস্তানের কাহুটায় পারমাণবিক বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানকে দায়িত্ব দেন এবং বোমা নির্মাণে অর্থ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস দেন। আব্দুল কাদির খানও তার টিম নিয়ে কাহুটায় বোমা বানানোর কাজ শুরু করেন।

গোয়েন্দা সূত্রে এ খবর পশ্চিমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইল আমেরিকাকে বলে যে, পাকিস্তান যে বোমা বানাচ্ছে সেটি হবে ইসলামী অ্যাটম বোম্ব। এর চূড়ান্ত টার্গেট হবে ইসরাইল। ইসরাইলের চাপে আমেরিকা ভুট্টোকে বোমা নির্মাণ কর্মসূচী থেকে সরে আসার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল। আর এই চাপটি দিচ্ছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হেনরি কিসিঞ্জার (ড. কিসিঞ্জার কয়েক দিন আগে ১০০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন)।

পাকিস্তানের ওপর চাপটি এত প্রবল ছিল যে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোকে বলেছিলেন, আপনারা যদি বোমা বানানো থেকে নিবৃত্ত না হোন, তাহলে আপনাকে এবং আপনার দেশকে ভয়াবহ পরিণতি (Horrible consequences) ভোগ করতে হবে। এ সম্পর্কে ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদ ম্যাগাজিন ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে বলা হয়, In the June 10, 1977, while addressing the National Assembly debate on the US pressure to cancel a (reprocessing plant) deal, Z.A. Bhutto disclosed that in September 1976 the US Secretary of State, Henry Kissinger, had warned Pakistan Ambassador to Washington that a democratic administration would make a “horrible example” of Pakistan if it did not cancel the deal -- and regardless of which party won the US elections, there would be “troubles galore” for Pakistan.. বাংলা অনুবাদ: ১৯৭৭ সালের ১০ জুন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে পাকিস্তানের পুনঃপ্রক্রিয়াজাত চুক্তি (Reprocessing plant) সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভুট্টো বলেন, ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়াশিংটনস্থ পাকিন্তানী দূতকে কিসিঞ্জার বলেন, যদি ঐ চুক্তি পাকিস্তান বাতিল না করে তাহলে ভুট্টোকে এবং তার দেশকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, পারমাণবিক বোমা বানাবার জন্য রিপ্রসেসিং প্লান্টের দরকার হয়। তবে ইন্ডিয়া টুডের ১৯৯৪ সালের এক প্রচ্ছদ কাহিনীতে বলা হয়, কিসিঞ্জার এবং ভুট্টোর মধ্যে যে উত্তপ্ত কথা হয় সেটা তিনি (ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো) শুনেছেন। বেনজির বলেন, She remembered the heated exchange between her father and Kissinger quite vividly, I was in the hall at the time Henry Kissinger came in and said, We will make a horrible example out of you.. বাংলা অনুবাদ, কিসিঞ্জার এবং আমার পিতা যতক্ষণ উত্তপ্ত কথা বলছিলেন তার সারাক্ষণ আমি (বেনজির) সেই ঘরে ছিলাম। কিসিঞ্জার হলে ঢুকলেন এবং বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন করবো’।

সেই ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছেন ভুট্টো ১৯৭৯ সালে। তিন জন সহকর্মী সহ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়। ভুট্টোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার নির্দেশে আহমেদ খান কাসুরি নামক এক পলিটিশিয়ানকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে ভুট্টোর জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক আদালতকে প্রভাবিত করে এই ফাঁসির রায় দিতে বাধ্য করেন। জেনারেল জিয়াউল হককে এই কাজ করাতে বাধ্য করে আমেরিকা। কারণ, ভুট্টো আমেরিকার নিষেধ শোনেননি এবং অ্যাটম বোমা বানানোর কাজ এগিয়ে নেন।

॥তিন॥
প্রবাদ আছে, কাজের বেলা কাজী, কাজ ফুরালে পাজি। আমেরিকা জিয়াউল হককে দিয়ে এই ফাঁসি দেওয়ার কাজটি করিয়েছে। কাজ শেষ হলে তারা জিয়াউল হককেও আর জীবন্ত রাখেনি। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট একটি সামরিক মহড়া পরিদর্শন শেষে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক বিমানযোগে রাজধানীতে ফিরছিলেন। তার সাথে ছিলেন পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড র‌্যাফেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হার্বার্ড এম ওয়াসম এবং আরো কয়েকজন সিনিয়র মিলিটারি অফিসার। মাঝ আকাশে বিমানটি রহস্যজনকভাবে বিধ্বস্ত হয় এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকসহ সমস্ত যাত্রী নিহত হন। বিমান দুর্ঘটনার সন্তোষজনক গ্রহণযোগ্য তদন্ত আজও হয়নি। তবে ধারণা করা হয় যে, কতিপয় অপ্রিয় সত্য চাপা দেওয়ার জন্য আমেরিকা তার নিজ রাষ্ট্রদূতকেও কোরবানি করতে কসুর করেনি।

॥চার॥
আমরা আগেই বলেছি যে, পাকিস্তানের ৭৬ বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই ক্ষমতার পূর্ণ মেয়াদ (৫ বছর) পূরণ করতে পারেননি। সেই একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ইমরান খানকে। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল ২২ জন এমপিকে ক্রয় করে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট পাশ করে তাকে অপসারণ করা হয়। ইমরানকে অপসারণের নেপথ্য নায়ক ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া।

ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতিকে পাকিস্তানের জনগণ মেনে নিতে পারেননি। তাই পদচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলিতে তিনি যেসব জনসভা করেন তার প্রতিটি জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগদান করে। যে বেলুচিস্তান আঞ্চলিক রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত, সেখানেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ইমরানের পক্ষে এবং সরকারের বিপক্ষে রাস্তায় নেমে আসে। একইভাবে মোহাজির অধ্যুষিত করাচিও ইমরানের সপক্ষে লক্ষ মানুষের পদভারে প্রকম্পিত হয়। বিশ^বাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেন যে, যে পাঞ্জাব সব সময় নওয়াজ শরীফপন্থী মুসলিম লীগের প্রভাবাধীন ছিল সেই পাঞ্জাবেও লক্ষ লক্ষ মানুষ মুসলিম লীগ ছেড়ে ইমরানের পতাকা তলে সমবেত হয়। এমনকি ইমরানের পদচ্যুতির এক বছর পর পাঞ্জাবের ৩৭টি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ নির্বাচনে ৩৭টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনেই জয়লাভ করে ইমরানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই)।

১৯৭০ সালের পূর্বাহ্নে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিব যে হিমালয় সদৃশ্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন, পাকিস্তানেও পদচ্যুতির পর ইমরান খান প্রায় মুজিব সদৃশ্য জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকেন। বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার মতো তার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে আমেরিকা এবং সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠি বিপন্ন বোধ করে। তাদের সম্মিলিত চক্রান্তে ১৩ মাস পর ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রিয় পাঠক, ইমরানকে গ্রেফতারের পর বিগত ৮ মাসে পাকিস্তানে একের পর এক বুনন করা হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল। তাকে হত্যা করার জন্য তার প্রতি গুলিবর্ষণ, নির্বাচনে তার দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট পাক নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়া, পাকিস্তানব্যাপী ১৬ হাজার পিটিআই নেতাকর্র্মীকে গ্রেফতার, পিটিআই থেকে সিনিয়র নেতাদের একের পর এক পদত্যাগে বাধ্য করা, লন্ডন থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত নওয়াজ শরীফকে ফিরিয়ে আনা, সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করা, পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র (সংবিধান) উলঙ্গভাবে লঙ্ঘন করে ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ৬ মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াসহ অনেক অপকর্ম করা হয়েছে। এই সব অপকর্মের হোতা পাক সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির। আগামী মঙ্গলবার ৬ ফেব্রুয়ারি এই কলামের তৃতীয় ও শেষ কিস্তিতে এসব বিষয় আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত

শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে আন্দোলনের হুমকি, যা বলছেন নেটিজেনরা

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে আন্দোলনের হুমকি, যা বলছেন নেটিজেনরা

৭ দিনের মধ্যে চুক্তিতে সম্মত না হলে হামলা : হামাসকে ইসরাইল

৭ দিনের মধ্যে চুক্তিতে সম্মত না হলে হামলা : হামাসকে ইসরাইল

সালথায় মানবপাচার মামলায় নারী গ্রেপ্তার

সালথায় মানবপাচার মামলায় নারী গ্রেপ্তার

বিয়ের আসরে কনেকে ইমরান খানের ছবি উপহার দিল বর

বিয়ের আসরে কনেকে ইমরান খানের ছবি উপহার দিল বর

ব্রিকসভুক্ত অন্যান্য দেশের সাথে চীনের বাণিজ্য বেড়েছে

ব্রিকসভুক্ত অন্যান্য দেশের সাথে চীনের বাণিজ্য বেড়েছে

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে এগিয়ে সাইদুর-তুষার

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে এগিয়ে সাইদুর-তুষার

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ২৯

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ২৯

লোকসানে দিশেহারা খামারিরা

লোকসানে দিশেহারা খামারিরা

তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি

তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি

আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না

আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত

যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের

যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ

বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা

বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা

ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু

ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু

২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে

২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে

বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে

বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে

ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের

ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের