ভারতে ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু
০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে এক ধর্মীয় উৎসব চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ১১৬ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের আলিগড় রেঞ্জ আইজি শলব্ মাথুর জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় ১১৬ মানুষ নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানকার মরচ্যুয়ারিতে আর মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই।
গতকাল হিন্দুদের ধর্মীয় জমায়েত ‘সৎসঙ্গ’ শেষ হওয়ার পরে হঠাৎই দৌড়োদৌড়ি শুরু হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে জায়গায় এক ধর্মগুরুর ভাষণ শোনার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়, সেটি ইটাহ এবং হাথরাস জেলা দুটির সীমান্তে।
সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, ‘একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, হাথরাস জেলার মুঘলগড়ি গ্রামে ভোলে বাবার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে’।
জেলার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার উমেশ কুমার বলেছেন যে, আহতদের অনেককে ইটাহ-র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিকান্দ্রারাউ শহরের একটি ট্রমা সেন্টারে। তিনি জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ভর্তি আছেন। মৃতদেহের ময়না তদন্ত করে নাম পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
আলিগড় রেঞ্জের পুলিশ আইজি শলভ্ মাথুর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ভোলে বাবা’ নামে ওই ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানের জন্য অস্থায়ী অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমস সংবাদপত্র ‘ভোলে বাবা’ নামের ওই ধর্মগুরুর ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে হাজির এক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে তাঁবুর মধ্যে অনুষ্ঠান চলছিল। গরমের কারণে পুরো অনুষ্ঠান চলাকালীনই ভক্তদের অস্বস্তিতে কাটাতে হয়েছে। তাই অনুষ্ঠান শেষ হতেই সবাই হুড়োহুড়ি করে বেরনোর চেষ্টা করছিলেন।
‘সবাই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, কিন্তু বের হবার পথ ছিল না। একজন আরেকজনের ওপরে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে গেছেন। আমি নিজেও বেরোতে গিয়ে দেখি মোটরসাইকেল রাখার কারণে বেরনোর পথ বন্ধ হয়ে গেছে’।
ভারতের ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠানে আগেও বড় সংখ্যায় মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে। দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কেরালার এক মন্দিরে নতুন বছরের অনুষ্ঠান চলাকালীন অবৈধ বাজি বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত ১১২ জন মারা গিয়েছিলেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল ২০১৬ সালের ওই ঘটনায় যে কংক্রিটের ভবন ধসে গিয়েছিল আর মন্দিরটিতেও আগুন ধরে গিয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশের একটি মন্দিরের কাছে সেতু ভেঙে পড়ে ১১৫ জন ভক্ত মারা গিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। সেদিন ওই সেতুর কাছে প্রায় চার লাখ ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। এরই মধ্যে গুজব ছড়ায় যে, সেতুটি ভেঙে পড়তে চলেছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের জনপ্রিয় হিন্দু তীর্থস্থান বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে ২০২২ সালে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১২ জন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, নিউইয়র্ক টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি
তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই
সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ
দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা
গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই
বন্য হাতি হামলা
পলো বাওয়া উৎসব
গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ
কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে
গারো পাহাড়ে কলার আবাদ
সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ
ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা
স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে
অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে
বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে
শার্শায় আফিল জুট উইভিং ফ্যাক্টরি শ্রমিক নিহত