ফ্রান্সে ডানপন্থিদের উত্থানে শঙ্কায় ফরাসি মুসলিমরা
০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫০ এএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
ফ্রান্সে সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছে ন্যাশনাল র্যালি (এনআর)। কট্টর ডানপন্থি এই দলের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পর মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত রোববার প্রথম ধাপের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে কট্টর ডানপন্থিরা। আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে। অবশ্য দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে আরএন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার পরও শঙ্কায় রয়েছেন ফ্রান্সের প্রায় ৬০ লাখ মুসলমান।
প্যারিসের ২২ বছর বয়সী মুসলিম তরুণী ফাতিমাতা মনে করছেন, অনেক ফরাসি তার অস্তিত্বের বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, আমি ফ্রান্সের দ্বারা প্রতারিত বোধ করছি। ১ কোটির বেশি মানুষ এমন একটি দলের জন্য ভোট দিয়েছে, যারা জনসমক্ষে পর্দা নিষিদ্ধ করার প্রচারণা চালাচ্ছে। ন্যাশনাল র্যালির নেত্রী মেরিন লা পেন জনসমক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর উত্তরসূরি জর্ডান বারদেলা এগিয়ে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, পর্দা একটি বৈষম্যের হাতিয়ার। প্যারিসের উত্তরাঞ্চলের জনবহুল ব্যানলিউকের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং তাঁর দল ক্ষমতা পেলে দ্বৈত নাগরিকদের কিছু কৌশলগত রাষ্ট্রীয় কাজে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিপণনকর্মী ইলিয়াস বলেন, অনেক মুসলিম ভাবছেন, আরএন ক্ষমতা পেলে তারা ফ্রান্স ছেড়ে চলে যাবেন। এ বছরের শুরুর দিকে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইসলামবিদ্বেষের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ফরাসি মুসলমানরা বিদেশে চাকরির সন্ধানে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। ১ হাজার জনেরও ওপর করা ওই গবেষণায় ১৪০ জনের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী তিজিরি মেসাউদেন বলেন, ন্যাশনাল র্যালি বলছে, দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের কিছু কৌশলগত অবস্থানে কাজ করতে দেওয়া হবে না। এটি আমার ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলছে। খবর আলজাজিরার।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি
কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি
তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই
সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ
দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা
গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই
বন্য হাতি হামলা
পলো বাওয়া উৎসব
গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ
কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে
গারো পাহাড়ে কলার আবাদ
সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ
ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা
স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে
অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে
বিদ্যুৎ সংকট আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে