কে তিনি, যিনি আর্তের ডাকে সাড়া দেন
১৪ জুন ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩, ১১:১৮ পিএম
কুরআন কারীমের সূরা নামলে আল্লাহ তাআলা বলেছেন : তবে কে তিনি, যিনি কোনো আর্ত যখন তাঁকে ডাকে, তার ডাকে সাড়া দেন ও তার কষ্ট দূর করে দেন এবং যিনি তোমাদের পৃথিবীর খলীফা বানান? (তবুও কি তোমরা বলছ) আল্লাহর সঙ্গে অন্য প্রভু আছেন? তোমরা অতি অল্পই উপদেশ গ্রহণ করো। (সূরা নামল : ৬২)।
এ আয়াতটি সূরা নামলের পঞ্চম রুকুতে। সূরা নামলের পুরো পঞ্চম রুকু জুড়েই আল্লাহ তাআলা তাঁর একত্ববাদ ও একচ্ছত্র আধিপত্যের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, কে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন এবং কে সবকিছু সুনিপুণভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন? তারা বলবে, আল্লাহ। তবুও তারা আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে।
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কে তিনি, যিনি কোনো বিপদাক্রান্ত যখন তাঁকে ডাকে, তার ডাকে সাড়া দেন ও দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেন? আল্লাহ! একমাত্র আল্লাহ তাআলাই বিপন্নের ডাকে সাড়া দেন এবং বিপদ দূর করে দেন। আল্লাহ তাআলা অন্যত্র আরো বলেছেন : তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। (সূরা মুমিন : ৬০)।
সূরা নামলের উপরিউক্ত আয়াতটির সঙ্গে আরো চারটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা বারংবার বলেছেন, ‘(তবুও কি তোমরা বলছ) আল্লাহর সঙ্গে অন্য প্রভু আছেন?’ যিনি একা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, সবকিছু যার একক ক্ষমতায় পরিচালিত, তাঁর কি কোনো শরিক ও সাহায্যকারী দরকার আছে? নিশ্চয়ই না। তবুও কেউ কেউ ঘোর অবাধ্য হয়ে তাঁর ব্যাপারে শিরক করে। এমন লোকদেরই কুরআন কারীমে সবচেয়ে বড় জালেম বলা হয়েছে।
বস্তুত বিপদ-আপদে সবাই অন্তর থেকে তাঁকেই ডাকে। কিন্তু বিপদমুক্ত হয়েই কেউ কেউ আল্লাহকে ভুলে যায়। আল্লাহ তাআলা কুরআনে একাধিক জায়গায় বলেছেন, তোমরা তো বিপদে পড়লে আমাকেই ডাকো, আমিই তোমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করি। তারপরও তোমাদের মধ্যে অনেকে বিপদমুক্ত হয়ে একে নিজের কৃতিত্ব মনে করে, কেউ আবার শিরকে লিপ্ত হয়।
ইরশাদ হচ্ছে : তোমাদের যে নিয়ামতই অর্জিত হয়, আল্লাহরই পক্ষ হতে হয়। আবার যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট তোমাদের স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁরই কাছে সাহায্য চাও। তারপর তিনি যখন তোমাদের কষ্ট দূর করেন, অমনি তোমাদের মধ্য হতে একটি দল নিজ প্রতিপালকের সাথে শিরক শুরু করে দেয়। (সূরা নাহল : ৫৩-৫৪)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) অসহায় ব্যক্তিকে এই দুআ পড়তে শিখিয়েছেন : হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। সুতরাং আপনি এক মুহূর্তের জন্যও আমাকে আমার নিজের প্রতি সমর্পণ করবেন না। আপনি আমার সবকিছু ঠিক করে দেন। আপনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। (মুসনাদে আহমদ : ২০৪৩০)।
আল্লাহ তাআলা বিপদ মুসিবতে বান্দাকে পরীক্ষা করেন, বান্দা কতটা সবর ও শোকরের পরিচয় দেয়। তাই সব ধরনের বিপদে ধৈর্য ধরা ও একান্ত আল্লাহমুখী হয়ে থাকা বান্দার কর্তব্য। প্রত্যেক মুমিনের এ বিশ্বাস রাখা আবশ্যক, একমাত্র আল্লাহ্ই আর্ত ও বিপন্নের ডাকে সাড়া দেন এবং তিনিই বিপদ দূর করেন।
আপাতদৃষ্টিতে যদি মুসিবত দূর নাও হয়, তবুও মনে রাখতে হবে, তিনি ছোট বিপদের মাধ্যমে বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করেন এবং কখনো দুনিয়ার বিপদের মাধ্যমে আখেরাতের কঠিন বিপদ দূর করে দেন। এ অবস্থায় বান্দা সবর ও শোকরের পরিচয় দিলে তিনি গুনাহ মাফ করে সওয়াব দান করেন এবং বান্দার মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দেন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ