হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাজ্ঞানী।
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রদূত, বিশ্ব সভ্যতা ও আদর্শের মূর্ত প্রতীক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহাজ্ঞানী। ইলম হচ্ছে নূর। যে নূর নবুওয়তের সমুজ্জ্বল প্রদীপ থেকে উৎসারিত। আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব সম্পর্কে এরশাদ করেছেন “ দয়াময় আল্লাহ তাঁর প্রিয় মাহবুব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন (সূরা: আর রহমান: আয়াত: ১)
মহান আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেছেন, “ আর আল্লাহ আপনার প্রতি আল কিতাব ও হিকমাহ (জ্ঞান-বিজ্ঞান) শিক্ষা দিয়েছেন, আর আল্লাহ আপনাকে ইলম শিক্ষা দিয়েছেন। যা কিছু আপনার অজানা ছিল এবং আপনার উপর আল্লাহর মহান অনুগ্রহ রয়েছে” (সূরা নিসা: ১১৩) পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে “আর আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাকে বিশেষ জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছি। (সূরা: আল কাহাফ: ৬৫)
মহান প্রভূ আমাদের নবীজি বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক হওয়া প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন “যেমন আমি তোমাদের থেকেই তোমাদের নিকট একজন মহান রাসূল প্রেরণ করেছি, তিনি তোমাদের কে আমার আয়াত পাঠ করে শুনান। তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন, তোমাদেরকে আল কুরআন ও হিকমাহ তথা জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেন আর যা কিছু তোমাদের অজানা তা তোমাদের শিক্ষা দেন। (সূরা: বাকারা: ১৫১)
নবীজি সমগ্র মানব জাতির শিক্ষক: মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টি কূলের শ্রেষ্ঠ নবী, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাবিশ্বের মহাজ্ঞানী প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অশিক্ষিত নিরক্ষর জাতির নিকট মহান শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করে তাঁকে “আন নবীয়্যুলউম্মী” উপাধিতে ভূষিত করেন।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে : তিনি নিরক্ষরদের নিকট তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন যিনি তাদেরকে আল্লাহর আয়াত শিক্ষা দেন, তাদেরকে পবিত্র করেন, আর তাদের কে আল কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দেন”( সূরা: জুমাআহ: ২)
যিনি নিরক্ষর তিনি অন্যকে কিভাবে শিক্ষা দেবেন। প্রতীয়মান হলো তিনি পৃথিবীর কারো নিকট থেকে অক্ষর জ্ঞান শিক্ষা লাভ করেননি তিনি কারো ছাত্র নন। একমাত্র মহান আল্লাহ তাঁর শিক্ষক। আর তিনি হলেন গোটা বিশ্ববাসীর শিক্ষক। রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর জন্য উত্তম আদর্শ, সত্যান্বেষীদের জন্য আলোকবর্তিকা। তিনি মহান স্রষ্টার গুপ্ত রহস্যাবলীর অর্ন্তদ্রষ্ঠা। পূর্বাপর সৃষ্টি রাজির সকল বিষয়ের জ্ঞানী। যিনি এরশাদ করেছেন “ সৃষ্টির পূর্বাপর সকল জ্ঞানীদের জ্ঞান আমাকে প্রদান করা হয়েছে” যাঁর জ্ঞানের গভীরতা প্রশস্ততা বর্ণনায় অসংখ্য হাদীস শরীফ বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ সৃষ্টির আদি-অন্ত, প্রকাশ্যÑঅপ্রকাশ্য, দৃশ্যÑঅদৃশ্য সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী করে তাঁকে প্রেরণ করেছেন।
যিনি এরশাদ করেছেন “আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।” (দারেমী শরীফ)
হাদীস শরীফে হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে “ একবার প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাড়িয়ে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমনকি জান্নাতীরা জান্নাতে, জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করার বিষয়ে বলে দেন।” (বোখারী শরীফ ১ম খন্ড, পৃ: ৪৫৩)
প্রসিদ্ধ সাহবী হযরত হুযায়ফা রাদিয়াল্লহু তা’য়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্য এক জায়গায় দাড়িয়ে অনেক কিছু বর্ণনা করলেন, তিনি কোন বিষয় কিছুই বাদ দেননি, কিয়ামত অবধি যা হবে, সব কিছুর বর্ণনা আমাদের জানিয়ে দিলেন, যারা এসব বিষয়াদি স্মরণ রাখতে সক্ষম তারা স্মরণে রেখেছে যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে গেছে। (বোখারী, মুসলিম, মিশকাত শরীফ: পৃ: ৪৬৩)
প্রথ্যাত সাহাবী হযরত হুযায়ফা (রা.) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবী ধ্বংশ হওয়া পর্যন্ত ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী কারো নাম বাদ দেননি, যাদের সংখ্যা হবে তিনশত বা তদুর্ধ। তিনি আমাদের কে তাদের নাম পিতার নাম, তাদের গোত্রের নামসহ উল্লেখ করেছেন। ( আবু দাউদ, মিশকাত শরীফ: পৃ: ৪৬৩)
মহান আল্লাহ তার প্রিয় হাবীবকে সমগ্র সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান অবগত করিয়েছেন, আল্লাহর কুদরতের বিস্ময়কর সৃষ্টিসমূহ তাঁর রাজত্বের বিশালত্বের রহস্যাদি তাঁকে অবহিত করেন।
নবীজির লিখন ও অক্ষরজ্ঞান ছিলো পরিপূর্ণ: অনেক জ্ঞানপাপী নিজেদের শিক্ষিত দাবী করে আর মুসলমান দাবীদার হয়ে নিজের নবীকে নিরক্ষর ও উম্মী শব্দের অপব্যাখ্যা করতে কুন্ঠিত হয় না। ধিক অভিশপ্ত জ্ঞানপাপীদের। আল্লামা কাযী আবুল ফজল আয়ায (রা.) আরো এরশাদ করেন, লিখন দক্ষতা সত্বেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকহারে না লিখাটা ছিল তাঁর অন্যতম বিশেষত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মহান আল্লাহ তাঁকে প্রতিটি বস্তুর জ্ঞান দান করেছেন, অসংখ্য হাদীস শরীফে এ বর্ণনা ব্যক্ত হয়েছে যে তিনি উত্তমরূপে অক্ষর সমূহ চিনতেন, হস্তলিপির সৌন্দর্য প্রসঙ্গেও তিনি ভালভাবে জানতেন। শিফা শরীফে ইবনে শাবান হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, নবীজি এরশাদ করেছেন “তোমরা বিসমিল্লাহ লম্বা করে লিখবেনা।” হযরত মুয়াবিয়া (রা.) কে থেকে বর্ণিত আছে তিনি নবীজির সামনে লেখালেখি করতেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে লিখার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন এরশাদ করেছেন, নবীজি হযরত মুয়বিয়া (রা.) বললেন, তোমার দোয়াত ডান দিকে রাখ “বা” অক্ষর সোজা করে লিখ “সীন” অক্ষর করাতের দাঁতের মতো লিখ, “মীম” অক্ষর অন্ধ রাখবেনা অর্থাৎ মাঝখানে থালি রাখবে। “আল্লাহ” শব্দটি পরিপাটি করে লিখ। আর রাহীম শব্দকে পরিস্কার করে লিখ। প্রতিয়মান হলো তিনি শ্রুত লিপি আদ্যপ্রান্ত অবগত ছিলেন। আরবি বর্ণমালার ব্যবহার বিধি, প্রয়োগ বিধি ও শব্দের মাখরাজ সম্পর্কে পূর্ণ মাত্রায় অবগত ছিলেন অথচ তিনি পৃথিবীর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষকের নিকট গমন করেননি কোন বিদ্যান ব্যক্তির নিকট না কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন, না কোন শিক্ষকের নিকট শিক্ষা লাভ করেছেন এ জন্যেই মহান আল্লাহ তাঁকে উম্মী উপাধিতে ভূষিত করেছেন। মহান আল্লাহই সরাসরি তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন, আল্লাহ তাঁর একমাত্র শিক্ষক। নিরেট ক্রটিমুক্ত সন্দেহ ও সংশয়মুক্ত মহাগ্রন্থ আল কুরআনই ছিল একমাত্র জীবন-বিধান পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস।
নবীজি ছিলেন মহাবিশ্বের মহাজ্ঞানী : হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি আসমানী ৭১ টি কিতাব অধ্যায়ন করেছি সবগুলো কিতাব পাঠান্তে অবগত হয়েছি যে, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত সমগ্র মানব জাতিকে যত জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছেন তা প্রিয় রাসূলের জ্ঞানের তুলনায় এমন যেমন বিশ্বনবী হলেন জ্ঞান সমুদ্র, আর সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান হলো সে সমুদ্রের একটি বিন্দুমাত্র। নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র মানব জাতির মধ্যে সর্বাধিক অগ্রগ্রামী এবং বিচারিক গুণে সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। (খাসায়েসুল কোবরা: ১/১১৯, হাদীস: ৩১৪)। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের সময় সন্নিকট হওয়ায় তাঁর গৃহ মোবারকে বহুলোক উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) ও ছিলেন, এমন সময় নবীজি এরশাদ করলেন, তোমরা এসো কাগজ কলম নিয়ে এসো, আমি তোমাদের জন্য এমন ভাবে লিখে দিই যা অনুসরণ করলে তোমরা এরপর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। (বোখারী শরীফ, হাদীস : ৪৪৩২)। জ্ঞান পাপীরা মানুষের নিকট লেখা পড়া শিক্ষা করে নিজেকে শিক্ষিত দাবী করে অথচ মহান আল্লাহ যাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন তাঁর শানে নিরক্ষর মন্তব্য করা মূর্খতা বৈ কি? কেবলমাত্র মুসলিম গবেষক মনিষীরা নয়, অমুসলিম দার্শনিক গবেষক পৃথীবীর বড় বড় খ্যতিমান মনীষীরাও জ্ঞানে বিজ্ঞানে ব্যক্তিত্বে শ্রেষ্ঠত্বে আদর্শের পূর্নতায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্ব শ্রেষ্ট কালজ্বয়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমেরিকার বিখ্যাত জ্যোতি বিজ্ঞানী ইতিহাসবিদ গণিতবিদ মাইকেল হার্ট রচিত গবেষণালব্ধ গ্রন্থ “দি হানড্রেড” ১৯৭৮ সনে ক্যারল পাবলিশিং কর্তৃক নিউয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটিতে তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে প্রভাব বিস্তারকারী প্রথম একশত ব্যক্তির একটি ক্রম তালিকা প্রকাশ করেন, এই মনীষীদের মধ্যে ছিলেন যীশু খৃষ্ট, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সেইন্টপল, গৌতম বুদ্ধ, জুলিয়াস, সিজার, কনফুসিয়াস, এরিষ্টিটল, চেঙ্গি’সখান, কলোম্বাস, ভাস্কোদাগামা, নেপোলিয়ান, এডিসন, সেক্সপিয়ার, আইনষ্টাইন, নিউটন, গ্যালিলিও, এঞ্জেলো, প্রমূখ। লেখকের সার্বিক বিচারে গবেষণার মানদন্ডে প্রথম স্থানে আসীন করলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে, দ্বিতীয় স্থানে বিজ্ঞানী নিউটন, তৃতীয় স্থানে অধিষ্টিত করলেন যীশুখৃষ্টকে। আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীবের সুমহান মর্যাদা অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন।
লেখক: অধ্যক্ষ মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), মধ্য-হালিশহর, বন্দর, চট্টগ্রাম।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন