(পূর্বে প্রকাশিতের পর)

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Daily Inqilab মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) তাইতো বলেছিলেন : আপনার অস্তিত্বের আলোয় উভয় জাহান আলোকিত, হে মহান! আপনার জাহের ও বাতেন সবই নূর।’ (কাসিদায়ে গাউসুল আজম)

তাইতো আল্লামা বুছিরী (রহ.) বলেছেন : তিনি না হলে আসমান স্রষ্টা তা সৃষ্টি করতেন না, তিনি না হলে মানবজাতি অনস্তিত্বের গ-ি হতে বের হয়ে আসত না।’

তাঁর মহান সত্তা সম্পর্কে শেখ সাদী (রহ.) বলেছেন :
মানবতার শীর্ষে তুমি হলে উপনীত,
রূপের ছটায় দূর করলে আঁধার ছিল যত-
সকল গুণের সমাবেশে চরিত্রে মহান,
তুমি ও তোমার বংশ পরে হাজারো সালাম।’
কবি ফররুখ বলেন :হারা সম্বিত ফিরে দিতে বুকে তুমি
আনো প্রিয় আবহায়াত, জানি সিরাজাম মুনীরা তোমার রশ্মিতে, জাগে কোটি প্রভাত।’

কবি আল মাহমুদ বলেন : এই নামে ফোটে হৃদয়ে গোলাপ কলি, যেন অদৃশ্য গন্ধে মাতাল মন, যেন ঘনঘোর আঁধারে আলোর কলি, অকুল পাথারে আল্লার আয়োজন।’

মোটকথা, সকল লেখক, কবি-সাহিত্যিকই রাসূলের শানে কিছু না কিছু লিখতে চেষ্টা করেছেন। অধুনা বিশ্বে কলমের সাথে আমলের দিক থেকে রাসূলের আদর্শের রূপায়নই হবে সবচেয়ে বড় কাজ।

যে সময় আল্লাহর ঘরে স্থান পেয়েছে তিন শতাধিক মূর্তি। আইন, বিচার ও প্রশাসন সবক্ষেত্রে চলছে তাগুতী শাসন, মানুষে মানুষে হানাহানি, উটকে পানি খাওয়ানোর মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে চলছিল যুগের পর যুগ যুদ্ধ। জীবন্ত কবর দিচ্ছিল বাবা নিজ কন্যাকে, সুদ ছিল দুনিয়ার অর্থনৈতিক ভিত্তি, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজের ওপর তলার লোকদের নিত্যদিনের কাজ। অসহায়, ইয়াতিম, অনাথ বঞ্চিত মানবতা যখন করছিল গগনবিদারি ফরিয়াদ, নারী জাতি ছিল মর্যাদাহীন খেলনার বস্তু। আদর্শিক, নৈতিক অবস্থা বলতে কিছুই ছিল না। এ সময় ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল সুখময় বসন্তকাল হিসাবে যিনি আগমন করেছিলেন তিনিই হলেন রাহমাতুল্লিল আলামীন। বিশ্ববিখ্যাত হাদীস বিশারদ মোল্লা আলী কারীর ভাষায় : তিনি ছিলেন বসন্তকাল, যার আগমনে যেমন আগমন করেছে প্রাকৃতিক বসন্ত, তেমনি নৈতিকতা ও আদর্শের ভুবনেও আগমন করেছে নববসন্তের জোয়ার। তিনি ছিলেন জাগতিক বসন্তের চেয়ে লাখ-কোটি গুণ অধিক আলোদানকারী নূর।’ (মেরকাতুল মাফাতিহ)। এ শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। একদিকে মা আমেনার জীর্ণ কুটির স্বর্গীয় আলোতে ঝলমল, প্রকৃতির বস্তু নিচয় আনন্দাপ্লুত। আজ ইবরাহীমের তাওহিদী হুংকার, মূসার অলৌকিক অসি, ঈসা মসীহর আলৌকিকত্ব সবই নয়া সাজে সজ্জিত আর তাগুত, শয়তান জালেমের গায়ে লেগেছে আগুন। এ রাতে কিসরার প্রাসাদের ১৪টি গম্বুজ ভেঙে পড়েছে, পারস্যের হাজার হাজার বছরের অগ্নি নিভে গেছে, শাতিল নদী শুকিয়ে গেছে, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি শুধু কিসরার গম্বুজই নয় বরং আজমীদের শান-শওকত, রোমানদের আড়ম্বর, চীনের প্রাচীরের মতো গগনচুম্বী মহলরাজি ভেঙে পড়েছিল। শুধু পারস্যের অগ্নিই নয় বরং অবিশ্বাসের গভীর ঘন অন্ধকার এবং পথভ্রষ্টতার বেড়াজাল ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ‘তাফসীরে সোরাবাদীর’ ভাষ্য অনুযায়ী ২৫টিরও অধিক অলৌকিক ঘটনার সমাহার নিয়ে তিনি আগমন করলেন এ ধরায়। তাই তো কবি বলেছেন : তাঁর গুণবৈশিষ্ট্য লেখার সাধ্য কারো আছে কি? তিনি তো আপাদমস্তক অলৌকিকত্ব নিয়েই এসেছেন।’

‘মুহাম্মাদ’ কতই না সুন্দর নাম!
কী চমৎকার শিশু! যার দুনিয়ায় আগমনের সময় মা আমেনার প্রসব বেদনা হয়নি, নাভি মায়ের নাভির সাথে সংযুক্ত নয়, যার খতনা মায়ের পেটেই সম্পন্ন, পুত-পবিত্র গোসল করা ও সেজদারত অবস্থায় তাশরিফ এনেছেন। কবি নজরুল বলেন : দেখ আমেনা মায়ের কোলে,
দোলে শিশু ইসলাম দোলে,
কচি মুখে শাহাদাতের
বাণী সে শুনায়।’

যার আগমনের সাথে আকাশ, বাতাস মুখরিত হচ্ছে সালাম আর সওগাতে। তাঁর নাম যে কত তাৎপর্যবহ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়।

পিতৃহীন স্বর্গীয় নাতিকে প্রথমবারের মতো কোলে নিয়ে আবদুল মুত্তালিব পুত্রবধূ আমেনাকে জিজ্ঞেস করলেন : ‘এ চাঁদের নাম কী রাখা যায়?’ জবাবে আমেনা বললেন : “স্বপ্নে আমাকে কে যেন বলেছে, শিশুর নাম হবে ‘মুহাম্মদ’।” দাদা এ নাম শুনে খুশি হয়ে এ নামেই ডাকতে লাগলেন। (সিরাতে ইবনে হিশাম, নেহায়াতুল আরব) যার অর্থ চরম প্রশংসিত। অভিধানের দৃষ্টিতে মুহাম্মাদ অর্থ যার প্রশংসা অতীতে চলেছে, বর্তমানে চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে, তিনিই হলেন মুহাম্মাদ। মুহাম্মাদ তাকেই বলে যার মাঝে প্রশংসনীয় চরিত্রের সমাহার ঘটেছে।’ কবি হাসসান বিন ছাবিত তাইতো মসজিদে নববীর মিম্বারে বসে আল্লাহর রাসূলকে সামনে নিয়ে গেয়েছেন :আল্লাহ (আদর ও সোহাগ করে) নিজের নাম হতে তাঁর নামকে বের করেছেন। অধিকন্তু মহান আরশের অধিপতি হচ্ছেন মাহমুদ (প্রশংসিত) আর হযরতের নাম হলো মুহাম্মাদ (চরম প্রশংসিত)।’
আমেনার আদরের দুলাল মুহাম্মাদ (সা.) তো প্রশংসা পাবারই পাত্র। যে হযরত হালিমার দুধপান করতে গিয়েও একটি স্তনের দুধ পান করছেন আরেকটি রেখে দিচ্ছেন দুধ ভাই আবদুল্লাহর জন্য। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দরদ, সাম্যের এরূপ নিদর্শন দুনিয়ার ইতিহাসে আরেকটি কি খুঁজে পাওয়া যাবে? শিশু মুহাম্মাদ (সা.)-এর আচার-আচরণ দেখে হালিমার আশপাশের নারীরা হিংসায় জ্বলে যেত। সবাই ভাবত, এরূপ একটি শিশুর লালন যদি আমার ভাগ্যে জুটত। দুধ ভাইয়ের এ আদর্শ দেখেই দুধবোন সায়মা কোলে নিয়ে বলছেন : বেঁচে থাকুক মুহাম্মদ- সে দীর্ঘজীবী হোক, চির তরুণ চির কিশোর চির মধুর রোক।

হয় যেন সে সরদার আর পায় যেন সে মান শত্রু তাহার ধ্বংস হোক ঘুচুক অকল্যাণ।
মুহাম্মদের পানে খোদা করুন চোখে চাও
চিরস্থায়ী গৌরব যা-তাই তাহারে দাও।’
(অনুবাদ-কবি গোলাম মোস্তফা)

শৈশবের ঘটনাবহুল দিনগুলো পেরিয়ে কৈশোরে প্রতিষ্ঠিত হলেন কিশোর মুহাম্মাদ (সা.) ‘আল-আমীন’ মুহাম্মাদ রূপে। যার অর্থ শান্তিপ্রিয়, সম্প্রীতির আধার, চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত। মক্কার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ল ‘মুহাম্মাদ’ (সা.) এমন এক কিশোর যে মিথ্যা কথা বলে না, আমানতের খেয়ানত করে না, অন্যের উপকার করা যার কাজ, বড়দের সম্মান ছোটদের স্নেহ করা যার চরিত্র। গোটা মক্কার জনগোষ্ঠীর মনের মাঝে এ কিশোরের স্থান ছিল অনন্য। সবার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে, অথচ সে অন্যায়, অশ্লীলতার ধারে কাছেও যায় না। কটুবাক্য সে বলেনি যা অন্যের মনে কষ্ট হতে পারে। আজকের কিশোর সমাজ আদর্শ কিশোর হতে হলে যে জীবন্ত প্রতীকের অনুসরণ করবে তিনি হলেন কিশোর মুহাম্মাদ (সা.)। যুবক মুহাম্মাদ (সা.) মক্কার যুব সমাজকে নিয়ে যদিও সমাজ সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছেন, কাবা ঘরে পাথর বসানো নিয়ে বিভিন্ন গোত্রের বিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা করতে সক্ষম হয়েছিলেন; কিন্তু মক্কা তথা গোটা দুনিয়ার মানুষ র্শিকে নিমজ্জিত ছিল। র্শিক থেকে মুক্ত করার জন্য প্রয়োজন ছিল এক মহা শক্তির প্রত্যক্ষ মদদ যা সকল তাগুতী শক্তিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। যতদিন যেতে লাগল মুহাম্মাদ (সা.)-এর মনে ততই চিন্তার পাহাড় জমতে থাকে। হেরা পর্বতের গুহায় বসে ভাবছিলেন কি করে এ বিশ্বকে র্শিকমুক্ত করা যায়। খোদায়ী ওহী ধারণ করার জন্য যেসব মানবীয় গুণ ও নৈতিক চরিত্র দরকার, জনমনে যে আসন লাভ করা প্রয়োজন সে চারিত্রিক ও গুণগত বৈশিষ্ট্য ফুলে-ফলে সুশোভিত হওয়ার পরই নাযিল হলো লওহ মাহফুজে লেখা আল্লাহর বাণী আল-কুরআন। ঘোষিত হলো : পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আলাক : ১)।

এ খোদায়ী নূরানি কুরআনকে যারা ধারণ করতে চায় তাদেরকেও রাসূল চরিত্রের অনুকরণীয় চরিত্র অর্জন করতে হবে। কুরআনের নূরানি ঝলক, পুত-পবিত্র ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের মুখে ‘লা শারিক’-এর ঘোষণা সকল স্বার্থান্বেষী, সুবিধাভোগী আমলা ও দুর্নীতিবাজ শোষক শ্রেণির মাথায় হানলো এক বজ্রাঘাত। অত্যাচার, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক অবরোধ, সামাজিক বয়কট, হত্যার হুমকি, কুৎসা রটনা এবং পাগল-যাদুকর, দেশদ্রোহী, ধর্মবিরোধীরূপে আখ্যাসহ সকল প্রকার প্রচার অর্থাৎ শয়তানি শক্তির সকল বাধা বিপত্তির মুখে দৃঢ় চিত্ত ঈমান নিয়ে আল্লাহর নবী নিজেকে ও সাহাবায়ে কেরামগণকে গড়ে তোলেন কুরআনি আদর্শে। কায়েম হলো আল্লাহর রাজ। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সংবিধানে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আদল-ইনসাফভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দেয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক দৈন্য সবকিছু সহ্য করেছেন, প্রয়োজনে পেটে পাথর বেঁধেছেন, গাছের পাতা খেয়েছেন; কিন্তু অন্যায়ের সাথে, র্শিকের সাথে, হারামের সাথে, দুর্নীতির সাথে আপোষ করেননি। মানুষের তৈরি খোদাবিমুখ আইন-কানুন, সংবিধান, সম্পূর্ণ উল্টিয়ে আল-কুরআনকে বসিয়েছেন সবার ঊর্ধ্বে। সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাস্তবসম্মত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। মোটকথা, মাত্র তেইশ বছরের মধ্যে আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এক আদর্শ সভ্যতা, উন্নত সংস্কৃতি ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা।

রাসূলে খোদা (সা.)-এর জীবন চরিত্র-সুন্নাহ হলো আল্লাহর কুরআনের বাস্তব দিক। যারা এ সুন্নাহর পুরোপুরি অনুসরণ করবেন, এ সুন্নাহকে বাস্তবায়ন করার কাজে ব্রতী হবেন তাঁদের জন্যই হবে রাসূলের জন্ম দিবস আনন্দের। যারা প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-কে কেন্দ্র করে নিজের, পরিবারের, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কাজ-কর্মকে রাসূলের জীবনের সাথে মিলাবেন, সে আয়নায় নিজেদেরকে দেখবেন, নিজেদের দোষ-ত্রুটি চিহ্নিত করে পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুতি নেবেন তাঁদের জন্য হবে এ দিবস ঈদের দিন। কিন্তু যে দেশের সংবিধান র্শিকমিশ্রিত, যেখানে আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষকেই ক্ষমতার উৎস বলা হয়- সে দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন আল্লাহর রাসূলের সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। যে ব্যক্তি সুদ খায়, সুদ দেয়, সুদী কারবার করে, ঘুষ খায়, ঘুষ দেয়, ঘুষের লেনদেনে জড়িত, যে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রশাসনে দুর্নীতি ঢুকায়, যে ব্যবসা-বাণিজ্যে পরকে ঠকানোর ব্যবস্থা করে, যে মালিক অন্যায়ভাবে তার শ্রমিকদের ঠকায় ও শ্রমের মর্যাদা দেয় না, যে শ্রমিক কাজে ফাঁকি দেয় তার জন্য রাসূলে খোদার জন্মদিন হবে ভয়ের দিন, দুঃখের দিন। তার জন্য এ দিবস কিছুতেই ঈদ বা খুশির হতে পারে না। যে মিলাদ মাহফিলে রাসূলের জীবন চরিত্র আলোচনা হয় না, সুদ ঘুষ ও চোরাচালানির পয়সা দিয়ে যেখানে মিষ্টি হালুয়া ক্রয় করা হয়, তাদের এ মাহফিল ও পয়সা ব্যয় রাসূলে পাকের গলায় ছুরি চালানোর মতো। যে আলেম সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে রাসূলের নির্দেশিত সত্যকে গোপন রাখে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে না, সামান্য দাওয়াতের জন্য সুদখোর, মদখোর, জুয়াড়ি, বেনামাযী খোদাদ্রোহীর সাথে সম্পর্ক রাখে, তাদের ঈদে মিলাদুন্নবী পালন হবে বনি ইসরাইলের স্বার্থান্বেষী দরবারি আলেমদের মতো যাদেরকে কুরআনে কুকুর বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে : তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে শুনাও যাকে আমি দিয়েছিলাম নিদর্শন। সে তা বর্জন করে (তাকে নিদর্শন মুক্ত পেয়ে) শয়তান তার পেছনে লাগে, আর সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়। আমি ইচ্ছা করলে এ সব (নিদর্শন) দ্বারা তাকে উচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতাম। কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে ও তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে- তার অবস্থা কুকুরের ন্যায়। তার ওপর তুমি বোঝা চাপালেও সে হাঁপাতে থাকে আর বোঝা না চাপালেও সে হাঁপায়। যে সম্প্রদায় আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের অবস্থাও এইরূপ। তুমি ঘটনা বলে দাও যাতে তারা চিন্তা করে।’ (সূরা আরাফ : ১৭৫-১৭৬) (চলবে)

লেখক- গবেষক, কলামিস্ট, পাঠান পাড়া, (খান বাড়ী) কদমতলী, সদর, সিলেট-৩১১১।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বড়দিনের ধর্মীয় ইতিহাস ও তাৎপর্য
ইসলামি অর্থনীতির স্বরূপইসলামি অর্থনীতির স্বরূপ
হাজারো পীর-আউলিয়ার শিরোভূষণ সৈয়দ সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসি (র.)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ঘুষ : দেয়া-নেয়া দুটিই অপরাধ
আরও

আরও পড়ুন

মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু

আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু

বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের

ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা

চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা

চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত

চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে

ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী

ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক

ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন

ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন

কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ

আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ

ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী

ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী

সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের

যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন