হারাম উপার্জন ও হারাম খাওয়ার পরিণাম

Daily Inqilab অধ্যক্ষ, মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন

২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ এএম

আল্লাহর বানী- ‘বলুন অপবিত্র ও পবিত্রতা সমান হতে পারে না, যদি ও অপবিত্রতার আধিক্য আপনাকে অভিতূত করে। হে জ্ঞানীগণ, আল্লাহকে ভয় করে চলো, যাতে করে তোমার সফলকাম হতে পারো।’ (সূরা: আল মায়েদা-১০০)

কোন কোন বর্ণনায় এ পবিত্র আয়াতের শানে নুযুলে বলা হয়েছে, যখন ইসলামে মদ্যপান হারাম বলে ঘোষিত হলো এবং ক্রয় বিক্রয়ও হারাম হলো, এ সময় এক ব্যক্তি (যার ব্যবসা-বানিজ্য মদ বিক্রয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো এবং এতে করে সে প্রচুর ধন সম্পদের অধিকারী হয়েছিলো) প্রশ্ন করলো, হে রাসুলুল্লাহ (সা:)! এই ধন-সম্পদ যা মদের ব্যবসা দ্বারা আমার নিকট সঞ্চিত রয়েছে, যদি আমি এগুলো কোনো নেক কাজে ব্যয় করি তাহলে এটা কি আমার কোনো উপকারে আসবে? রাসুল (সা:) এরশাদ করলেন, যতি তুমি ইহা হজ্ব কিংবা জিহাদে ব্যয় কর তাহলে এটা আল্লাহর নিকট মাছির এক ডানার সমানও মর্যাদা পাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র ও হালাল ছাড়া অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করেন না।
হালাল জীবিকা উপার্জন করা ইসলামে অত্যাবশ্যকীয়। হালাল জীবিকা আতিœক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উপায়। পক্ষান্তরে হারাম উপার্জনে মানবজাতির ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রশান্তি দূরীভূত হয়। ফলে কারুণী অর্থনীতির ধনকুবেরা টাকার বিছানা বালিসে থাকে অপরদিকে হালাল উপার্জনকারী খেটে খাওয়া মানুষ দু’চারটে ডাল-ভাত খেয়েও নিশ্চিন্ত মনে শান্তিতে দিনাতিপাত করে। তাই দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ লাভের জন্য হালাল জীবিকা অর্জনে ব্রতী হওয়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর অবশ্য কর্তব্য! শরীআতে হালাল পন্থায় সম্পদ উপার্জনের জন্য যেমন বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। তেমনি হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিনতির ব্যপারেও সতর্ক করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে হারাম উপার্জন ও হারাম খাওয়ার পরিণাম সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশাল্লাহ!

জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে শরীয়াতে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন, হে মানবকুল! তোমরা পৃথিবীতে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা: আল-বাকারাহ-১৬৮)

হারাম উপার্জনের তোয়াক্কা না করার ফলে আজ সমাজে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, সূদ, ঘুষ, জুয়া প্রতারণা, মজুতদারী, মাপে ঠকানো, ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা, অন্যাভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ করাসহ বিভিন্ন প্রকার গ্র্রর্হিত কাজ ব্যাপকতা লাভ করেছে! মানুষের নিকট এমন এক সময় আসবে যখন হালাল উপার্জনের বিষয়টিকে তারা তুচ্ছ জ্ঞান করবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই উপার্জনে লিপ্ত হবে! এ প্রসঙ্গে রাসুল (স:) বলেছেন, মানুষের নিকট এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম বিবেচনা করবে না। (ছহীহ বুখারী-২০৫৯)

আরো এক শ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা জেনেশুনে স্বপ্রণোদিত হয়ে আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম বানায়! এ সম্পর্কে আল্লাহর বানী- ‘বল তোমরা কি ভেবে ফেলেছ, আল্লাহ তোমাদের যে রিজিক দিয়েছেন তোমরা এর কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বল আল্লাহ কি তোমাদের এর অনুমতি দিয়েছেন না তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ? (সূরা: ইউনুস-৫৯)

হারাম ভক্ষণে, যদিও অনিচ্ছায় হোকনা কেন, অন্তরে কাঠিন্য সৃষ্টি হয় ও দুয়া কবুল হয় না। রাসুল (সা:) বলেছেন, এক ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলামেলো চুল ও ধূলি ধূসরিত দেহ নিয়ে আকাশের দিকে হাত তুলে হে প্রভু! বলে মোনাজাত করে অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারাই সে পুষ্টি অর্জন করে। তার মোনাজাত কীভাবে কবুল হবে?

সাদ (রা:) বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসুল (সা:) আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন আমার দোয়া কবুল হয়! রাসূল (সা:) বললেন হে সা’দ! তোমার উপার্জনকে হালাল রাখ তোমরা দোয়া কবুল হবে! মনে রেখ, কেউ যদি হারাম খাদ্যের এক গ্রাসও মুখে নেয় তাহলে চল্লিশ দিন যাবৎ তার দোয়া কবুল হবে না। মেরকাত গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে: ‘কেননা যখন হারাম খাওয়া হয় এবং বৃদান্তে তা সংরক্ষিত হয় এটা অন্তরে কাঠিন্য সৃষ্টির ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যদিও এটা কর্তার অজানা থাকে! তাছাড়া হারাম আহারের কারণে মানুষ অসৎচরিত্র ও বদ অভ্যাসের দাসে পরিণত হয় এবং সে ইবাদত বন্দেগীর স্বাদ আস্বাদন করতে ব্যর্থ হয় এবং তার দোয়াও কবুল হয় না শুধু কি তাই? আখেরাতে সে আল্লাহর বিশেষ রহমত থেকে বঞ্চিত হবে!

হারাম খাওয়ার পরিণাম সম্পর্কিত নি¤œবর্ণিত হাদীস গুলো খবুই তাৎপর্যবহ:
১। রাসুল (সা:) এরশাদ করেন: ঐ সত্বার কসম যার হস্তে আমার প্রাণ, যে ব্যক্তি হারাম লোকমা গলধকরণ করে, তার চল্লিশ দিনের সৎ কর্ম কবুল হয়না। যে ব্যক্তির শরীরের গোস্ত হারাম সম্পদ দ্বারা লালিত পালিত হয় অগ্নিই তার উপযুক্ত স্থান। (তিবরানী)

২। রাসুল (সা:) আরো এরশাদ করেন: ঐ সত্বার কসম, যারা হস্তে আমার প্রাণ, যে ব্যক্তি কোনো হারাম সম্পদ অর্জন করে, অত:পর সে এটা দান করে তবে এ দান গ্রহণ করা হবেনা। এর থেকে সে যা কিছু স্বীয় প্রয়োজনে খরচ করবে, এতে বরকত হবেনা। আর যদি সে তা উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যায় এটা তার জন্য জাহান্নামের পাথেয় হবে। কেননা আল্লাহ মন্দ দ্বারা মন্দকে মিটিয়ে দেন না বরং মন্দকে ভালো দ্বারা মিটিয়ে দেন। কোনো অপবিত্রতা অন্য কোনো অপবিত্রতাকে বিলীন করতে পারে না।

৩। রাসুল (সা:) এরশাদ করেন: যদি কোন লোক পাপ পথে মাল-সম্পদ আহরণ করে অত:পর এ সম্পদ তার স্বীয় নিকট আত্মীয়দের নিকট পৌছে অথবা সে তা দান করে অথবা সে তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তার এসব কিছু পরকালে একত্রিত করা হবে এবং তার সঙ্গে এগুলোকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (আবু দাউদ)
৪। প্রিয় নবীজি (সা:) এরশাদ করেন: ঐ শরীর বেহেস্তে প্রবেশ করবে না যে শরীরের খাদ্য হারাম দ্বারা সংগৃহীত।

৫। প্রিয় নবীজি (সা:) আরো বলেন: যদি কোনো কাপড় দশ দিরহাম দ্বারা ক্রয় করে এবং এর মধ্যে এক দেরহামও হারাম থাকে মহান পরাক্তমশালী আল্লাহ তার এ নামায কবুল করবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে ঐ কাপড় পরিধানরত থাকে।

৬। প্রিয় নবীজি (সা:) বলেন: মানুষ যখন অপবিত্র খরচপত্র সঙ্গে করে হজ্বের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে এবং অত:পর বাহনের উপর আরোহণ করে করে লাব্বায়েক (হাজির আমি) বলতে থাকে, তখন এক আহরণ আহব্বানকারী আকাশ থেকে এ মর্মে আহবান করতে থাকে, তোমার কোনো লাব্বায়েক হাজির বলার প্রয়োজন নেই। তোমার পাথেয় হারাম, তোমার ব্যয় হারাম এবং তোমার হজ্ব পালনে রয়েছে পাপ। এ হজ্ব কবুল হবার নয়। (তিবরানী)

কবির ভাষায় অর্থাৎ মানুষ পবিত্র বায়তুল আতিকের হজ্ব করে ঐ সম্পদ দ্বারা যা তার অবৈধ উপায়ে একত্রিত করে। তাদের প্রত্যেকের ধারণা তাদের গুনাহের বোঝা (মাথা থেকে) নেমে যাবে। প্রর্কৃতপক্ষে তার মাথার ওপর দোযোখ থেকে যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু কবুল করেন না এবং বায়তুল্লাহ শরীফে প্রতিটি হজ্ব মকবুল হজ্ব নয়। (আল্ মুস্তাত্রাফ)

হারাম উপার্জনের কতিপয় কারণ :
১। তাকওয়াশূন্য হৃদয় : হারাম উপার্জনে লিপ্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো হৃদয় থেকে আল্লাহভীতি দূর হয়ে যাওয়া। আল্লাহভীতি মানবাত্মাকে হারামে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। আর আল্লাহকে লজ্জা করে অন্যায় কর্ম ত্যাগ করাই হলো প্রকৃত লজ্জা। রাসুল (সা:) প্রকৃত লজ্জা কি তা ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন তিনি বলেন, তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে লজ্জা করো! আমরা বললাম, আলহামদুলিল্লাহ! হে আল্লাহর রাসুল (সা:) আমরাতো আল্লাহকে লজ্জা করি। রাসুল (সা:) বললেন, বিষয়টা এমন নয়, বরং আল্লাহকে যথাযথভাবে লজ্জা করা হলো তুমি তোমার মস্তিস্ককে যাবতীয় অন্যায় চিন্তা-চেতনা থেকে রক্ষা করবে, পেটকে যাবতীয় হারাম খাদ্য থেকে বাঁচাবে। মৃত্যু ও তৎপরবর্তী বিপদসমূহ স্মরণ করবে। আর যে পারলৌকিক সফলতা কামনা করে, সে যেন পার্থিব চাকচিক্য পরিত্যাগ করে। আর যে ব্যক্তি এ সমস্ত কর্মকান্ড সম্পাদন করবে সেই যথাযথভাবে আল্লাহকে স্মরণ করল। (আহমদ-৩৬৭১, তিরমিযী-২৪৫৮)।

অন্যত্র রাসুল (সা:) বলেন : মানুষ পূর্ববর্তী নবুয়াতের যে সমস্ত অমীয় বাণী লাভ করেছে তম্মধ্যে একটি হলো যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন যা ইচ্ছে তাতেই লিপ্ত হবে! (ছহ্ ীইবনু মাজাহ-৪১৮৩)

২। ত্বরিত গতিতে উপার্জনের লালসা: হারাম উপার্জনের আর একটি কারণ হলো দ্রুত উপার্জনের লালসা। কতক মানুষ রয়েছে যারা দ্রুততার সাথে ধনী লোক হয়ে যাবে। যে কোনোভাবে যে কোনো পন্থায় তারা আয়ের ব্যবস্থা করতেও দ্বিধান্বিত হয় না। সুতরাং স্বল্প সময়ে অধিক উপার্জন করাই তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে। যার ফলে তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নির্ধারিত জীবিকা পেত, তার সীমালংঘন করে দ্রুত উপার্জন করতে চেষ্ঠা করে। অথচ রাসুল (সা:) তা নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! আমি যে সব বিষয়ে তোমাদের নিদের্শ প্রদান করেছি যে গুলো তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। আর যে বিষয় তোমাদেরকে জাহান্নামের নিকটবর্তী করবে এবং জান্নাত থেকে দূরে রাখবে সে সব বিষয় তোমাদেরকে নিষেধ করেছি। নিশ্চয়ই রুহুল আমীন অন্য বর্ণনায় রুহুল কুদুস (জিবরীল) আমার অন্তরে অবর্তীর্ণ করেছে যে, রিজিক পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মরবে না। অতএব যে মানব বন্ডলী! আল্লাহকে ভয় করো, জীবিকা অন্বেষণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো, জীবিকা আসতে বিলম্ব হলে অবশ্যই আল্লাহর অবাধ্যতা করে তা অর্জন করো না। কেননা আল্লাহর আনুগত্য ব্যতীত তার নিকটে যা আছে তা পাওয়া যায় না। (মিসকাত-৫৩০০)

অতএব প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তির উচিত এ বিষয়টিকে অনুধাবন করা যে, পার্থিব জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং বান্দার রুযী-রোযগার ও আয়-ব্যয়ের হিসাব আল্লাহর কাছে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। রাসুল (সা:) বলেন, কিয়ামতের দিন আদম সন্তানের পা তার প্রভুর সামনে নেকে নড়বে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে পাঁচটি প্রশ্ন না করা হবে। (ক) তার জীবন কোথায় শেষ করেছে। (খ) যৌবন কোথায় জীর্ণ করেছে, (গ) সম্পদ কোন উৎস থেকে উপার্জন করেছে এবং (ঘ) কোথায় তা ব্যয় করেছো এবং (ঙ) জ্ঞানানুযায়ী আমল করেছে কিনা? (তিরমিযী-২৪১৬), মিশকাত-৫১৯৭)

৩। হারাম জীবিকার স্বরূপ ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবহেলা : আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষ হারাম উপার্জনের স্বরুপ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ! তার হুকুম কি ব্যক্তি ও সমাজের উপরে এর কুপ্রভাব কি এর মাধ্যমগুলি কি কি এ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ একদিকে যেমন অজ্ঞ অন্য দিকে সে গুলি সম্পর্কে জানার ব্যপারেও চরম অবহেলা। অথচ সলফে সালেহীন হারাম ভক্ষণের ব্যাপারে কতই না সতর্ক ছিলেন। যেমন আয়শা (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আবুবকর (রা:) এর এক দাস ছিল তাকে খারাজ দেয়া হতো। তার খারাজ থেকে আবুবকর (রা:) খেতেন। একদা তার নিকটে কিছু আসলো, আবুবকর (রা:) তার থেকে খেলেন। অত:পর দাসটি বললো, আপনি কি জানেন, এটা কি? আববকর (রা:) বললেন, কি সেটা? দাসটি বললো, জাহেলী যুগে আমি একজনের গণকী করেছিলাম। আর আমি যে এ বিষয়ে দক্ষ ছিলাম তাও নয় বরং তাকে আমি ধোঁকা দিয়েছিলাম মাত্র। অত:পর সে আমার সাথে স্বাক্ষাৎ করে উক্ত উপঢৌকন আমাকে দেয়, যা আপনি খেলেন। অত:পর আবুবকর (রা:) মুখে হাত ঢুকিয়ে যা কিছু পেটে ছিলো সবই উদগীরণ করে বের করে দিলেন। (বুখারী০-৩৮৪২, মিশকাত-২৭৮৬)

৪। অতিরিক্ত লোভ ও অল্পে তুষ্টির অভাব: অবৈধ পন্থায় উপার্জনের অন্যতম কারণ হলো, মাত্রাতিরিক্ত লোভ ও অল্পেতুষ্টি না হওয়া। আর এ কারণেই মানুষ চুরি-ডাকাতী করতে দ্বিধা করে না। যেমন রাসুল (সা:) বলেন ! ছাগলের পালে দু’টি ক্ষুধার্থ নেকড়ে বাঘ ছেড়ে দিলে তা যতটুকু না ক্ষতি সাধন করে, কারো সম্পদ ও প্রতিপত্তির লোভ এর চাইতে অধিক ক্ষতি সাধন করে তার দ্বীনের । (তিরমিযী-২৩৭৬) (চলবে)

লেখক: অধ্যক্ষ, মাদারীপুর আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা, মাদারীপুর সদর, মাদারীপুর।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বড়দিনের ধর্মীয় ইতিহাস ও তাৎপর্য
ইসলামি অর্থনীতির স্বরূপইসলামি অর্থনীতির স্বরূপ
হাজারো পীর-আউলিয়ার শিরোভূষণ সৈয়দ সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসি (র.)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ঘুষ : দেয়া-নেয়া দুটিই অপরাধ
আরও

আরও পড়ুন

আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু

আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু

বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের

ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা

চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা

চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত

চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে

ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী

ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক

ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন

ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন

কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ

আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ

ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী

ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী

সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের

যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন

শীতের দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি স্থবির খুলনা শহুরে জীবন

শীতের দিনে ঝিরঝিরে বৃষ্টি স্থবির খুলনা শহুরে জীবন